আগস্টে গটে যাওয়া এই হত্যা যেনো কারো চোখেই পরলো না

 আগস্টে গটে যাওয়া এই হত্যা যেনো কারো চোখেই পরলো না


মেয়েটির নাম জিদনি(১১) ,

- বাবার নাম শরীফ মিয়া ,

- গ্রাম চাতাল,উপজেলা কটিয়াদি ,জেলা কিশোরগঞ্জ।

- দারিদ্র্যতার কারনে শরীফ মিয়া তার সন্তানকে ১ বছর পূর্বে তার দূরসম্পর্কের বোনের বাসায় মেয়েকে কাজের জন্য পাঠায়। মেয়েটিকে সম্পর্কে তার ফুপি কাজের জন্য নেয় ,তার ফুপির নাম আসমা আক্তার(৪০) ,স্বামী নুরুজ্জামান। তারা ঢাকার লালবাগে বসবাস করতেন। 



এবার আসি ঘটনায়। জিদনি তার বাসায় কর্মরত অবস্থায় নানান ধরনের নির্যাতনের শিকার হতো। প্রায়ই তাকে গরম পানির ছিটা,গরম খুতনি দারা আঘাত করা হতো। হত্যার বর্ননা যতো দিব ততোই যেন কম হয়ে যাবে মেয়েটার মাথায় ৩টা কোপের দাগ এবং ঘাড় সম্পূর্ন ভাঙ্গা ছিল। এমন নরপশু নির্যাতনের যন্ত্রনায় আনুমানিক আগষ্টের ১৩/১৪ তারিখে শিশুটি মারা যায়। ব্যাপারটা আরো নির্মম হয় তখনই মৃত এই শিশুটিকে ৪/৫ দিন বাসার ফ্রিজে রাখা হয়।ব্যাপারটা খুনি আসমার স্বামী নুরুজ্জামান সেচ্ছায় জবাবদিহি করেন। যেদিন লাশটা মেয়ের গ্রাম চাতালে পাঠায় লাশটাকে বোরখা পরিধান করে মুখ থেকে পা সব ঢেকে দেয়। খুনি আসমা আক্তার সেই লাশটিকে তার ভাই মুজাহিদের মাধ্যমে গ্রামে পাঠায় এবং লাশবাহী এম্বুল্যান্সের সাথে দুইজন লোকও দিয়ে দেয়। লাশটি যখন গ্রামের নিকটে চলে আসে অজ্ঞাত দুইজন ব্যাক্তি মুজাহিদকে এম্বুল্যান্সে রেখে তারা নেমে যায় এর পর তাদের আর খোজ মেলে নি। এর পর মুজাহিদ লাশটিকে বাড়িতে নিয়ে গেলে পরিবার লাশ দেখে শনাক্ত করে এটা কোনো সাভাবিক মৃত্যু না। তাৎক্ষণিক তারা থানায় বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ মুজাহিদ কে গ্রেফতার করে। এর পর খুনি আসমার বাবা পরিবারকে টাকার লোভ দেখিয়ে কোনো মামলা না করার জন্য চাপ দিতে থাকে। পুলিশ লাশটির ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত করেন এটা সাভাবিক মৃত্যু নয় ,মেয়েটিকে গরম পানি ,আগুনের ছেক সহ নানান ধরনের নির্যাতন করে মারা হয়। এলাকাবাসি এবং আত্তীয়দের প্রতিবাদে ঢাকার লালবাগ থানায় খুনি আসমা ও তার পরিবারের নামে মামলা করা হয়। 


কত হত্যার বিচার তো আপনারা সামাজিক মাধ্যমের ঝড় তুলে সফল করেন। এবার নাহয় জিদনি হত্যার বিচারে আপনারাও আওয়াজ তুলেন। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন উক্ত পোস্টটি শেয়ার করেন অথবা নিজের টাইম লাইনে পোস্ট করেন। একবার ভাবুন শিশুটা আপনার মেয়ে অথবা বোন। দয়া করে এটা প্রচার করুন 😊


- দামা পড়ে থাকা এই হ্যাতটি আপনি এখন দেখে মনে করবেন আগষ্টে এই গটনা গটেছিলো আমরা অক্টোবরে দেখতেছি?? 

- জি আমরা টাকার কাছে বিক্রি হই 😅

- এটা নতুন কিছু নাহ তবে ছাইলে আপনি পারেন এই পোস্টি চড়িয়ে দিতে এবং নতুন করে তদন্ত করতে আসুন আমরা গরিবের পাশে দাঁড়াই 🫵


- আমরা খবটি চড়িয়ে দি বাংলার বুকে যাতে এই হত্যার বিচার কতটুক হয়েছে নাকি টাকা খেয়ে দমিয়ে গেছে তা দেখি 😅


- সোস এই গটনা যে বাসায় হইছে ওই বাসার পাশের বসার একজন ভাইয়া আমাকে বলেন এবং রিকুয়েষ্ট করে এই খবর টি চড়িয়ে দিতে 🙏🙏


Comments

Popular posts from this blog

গল্প : নরপশু বর